Top Ad unit 728 × 90

image

বাস্তু সংশোধন বা কারেকশন

বাস্তু সংশোধন


জার্মানী বিশেষ করে পশ্চিম জার্মানী,ভারতে জয়পুর শহর ১০০ ভাগ বাস্তু বিধানের আধারের উপর নির্মীত প্রতিটি ভবন।এর মধ্যে ভারতে জয়পুর শহর ১০০ ভাগ বাস্তু দোষহীন ভাবে নির্মিত।পশ্চিম জামার্নীর প্রায় প্রতিটি স্থাপনা বাস্তু শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী নির্মিত।ভারতের কেরলা বিশেষ করে বাঙ্গালোর শহরও বাস্তু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী নির্মিত।

এটা হচ্ছে উক্ত দেশ সমূহের দাবী।যার সঙ্গে আমি বা আমার পরিবার একমত নই।এর মূখ্য কারণ হলো পৃথিবীর ভূমির ইতিপূর্ব ইতিহাস কারও জানা নেই।যদিও ভারতের স্বস্তা ও দামী বইতে লিখা আছে যে ভূমি ক্রয়ের পূর্বে তার পূর্ব ইতিহাস জেনে ক্রয় করে বাস্তু নির্মানের কথা তারা বলছেন,তাঁদের এই মতের সঙ্গেও আমি একমত নই।কেননা ভূমির পূর্ব ইতিহাস সৃষ্টিকর্ত্তা ব্যতীত মানুষের পক্ষে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।আজ আপনি বা আপনারা যেটাকে ভূমি হিসাবে দেখছেন তা হয়তো কোন না কোন সময়ে হয় নদী,না হয় সাগর অথবা কোন বৃহৎ জলাশয় ছিল।পক্ষান্তরে যেটাকে আজ নদী,খাল বিল দেখছেন হয়তো সেটা কোন না কোন সময়ে ভূমি ছিল।পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যায় দৃশ্যত প্রাকৃতিক অবস্থান।যা এক সময়ে জলাশয় ছিল তা আজ ভূমি,পূর্বে যেখানে গ্রাম ছিল বর্তমানে সেখানে নগর বা মহানগর গড়ে উঠেছে।সুতরাং ভূমির ইতিহাস কারও পক্ষেই জানা সম্ভব নয়।বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মানুসারে যে কোন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার পূর্বে সে ভূমির দোষ সর্বপ্রথম নাশ করতে হবে।কেননা যদি ভূমি দোষ বিদ্যমান থেকে থাকে তবে বাস্তুশাস্ত্র নিয়ম মেনে যতই নির্মান প্রতিষ্ঠান যেমন- বাড়ী, অফিস, কারখানা ইত্যাদি করে থাকেন তাতেও বড় বড় দোষ থেকে যায় কেননা আপনার নির্মিত বাস্তর ভূমির দোষের ফলে।আপনি বা আপনারা আজ যে বাড়ীতে বসবাস করছেন সে বাস্তু ভূমিতে হয়তো সর্পের বসবাস ছিল, এমনও হতে পারে সে ভূমিতে মানুষ সহ বহুবিধ প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে।কবর বা শশ্মান যাই বলুন উক্ত ভূমির দোষ উদ্ধার না করে বাড়ী সহ যে কোন ইমারত নির্মাণ করতে নেই।

আর যদি ‘ত্রিপুষ্কর দোষ’ বাড়ী বা ভূমিতে থাকে তবে কাওকেই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে দেখিনি।

এজন্য বর্তমান বিশ্বের যে কোন নির্মাণ স্থাপনার পূর্বে সচেতন নর-নারীর পূর্ব থেকেই ভূমির দোষ নাশ করে তৎপর বাস্তু শাস্ত্রানুযায়ী নির্মাণ করে থাকেন, আবার যারা বাড়ী, ঘর, এ্যাপার্টমেন্ট, মিল, কারখানা অফিস নির্মাণ পূর্বে করেছেন তারাও বর্তমানে বাস্তু কারেকশন করে নিচ্ছে।এতে ভাঙ্গতে হয় না কারোই সখের নির্মাণ, নষ্ট হয়না একটি ইট।৬৪ কলার বাস্তুশাস্ত্রের দোষ আমি বিভিন্ন পদ্ধতিতে কারেকশন বা সংশোধন করে থাকি।আপনার যদি প্রয়োজন মনে করেন যে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে আগ্রহী তবে মেইলের মাধ্যমে/সাক্ষাতে অথবা ফোন করে জেনে নিতে পারেন।একটি কথা না লিখলেই নয় আর তা হচ্ছে বাস্তু কারেকশন করে আপনি পেতে পারেন- সুনাম, খ্যাতি, যশ, গৌরব, অর্থ, বিত্ত, নিরোগ দেহ, ব্যবসায় উন্নতি, লোক পূজ্যনীয় সর্বোপরি সুখ ও শান্তি।
তা হল আমি ( ক্ষমতাবান ব্যক্তি) কি এই জ্ঞানকে আমার ব্যক্তিগত আমার নিজের প্রয়োজনে এবং আরও সম্পদ সংগ্রহের কাজে লাগাতে পারিনা? অথবা এই জ্ঞান কি শেষ পর্যন্ত আমার সব সমস্যা দুর করতে সক্ষম হবে এবং আমাকে অবিরাম সুখ, ক্ষমতা ও সান্তনা প্রদান করতে সক্ষম হবে? এ সবই হচ্ছে বাস্তু দোষের প্রভাবে।অথচ আজীবন সুখের পিছনে ঘুরে সুখ তো পেলেনই না তৎপর বলে চেষ্টা করেছি কপালে ছিল না।অথচ প্রতিটি মানুষের কপাল প্রতিটি মানুষকে সঠিক চেষ্টার দ্বারা নিজে তৈরি করে নিতে হয়।এটা আল্লার বাণী।

আমার বেশ কিছু অভিজ্ঞতার মধ্যে আমি দু’টি উদাহরণ পাঠক/পাঠিকাদের উদ্দেশ্যে লিখছি।১৯৯২ সালে জনৈক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমার পৈত্রিক নিবাস ঢাকায় কমলাপুর জসিমউদ্দিন রোডের বাড়ীতে এলেন।( সামাজিক কারণ বশতঃ আমি কোন ক্লায়েণ্ট এর নাম কখনওই উল্লেখ করি না)।ব্যবসায়ী ভদ্র লোকের সঠিক জন্ম তারিখ ছিল সার্টিফিকেট অনুযায়ী, যেটা রাজেশ্বরী জ্যোতিষলয় কখনওই গ্রহণ করে না।ভদ্র লোকের হস্তকর রেখা বিচার করলাম কিছু লিখে দিলাম।একটি ধনমান অগ্রসন কবচ ও একটি পীত পোখরাজ পাথর লিখলাম (পীত পোখরাজ = Yellow Sapphire)।ভদ্র লোক ২ সপ্তাহের মধ্যে দু’টিই আমার মাধ্যমে নিলেন।তৎপর প্রস্তাব দিলেন তার অফিস, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বাড়ী চেক করে বাস্তু মতে কারেকশন করার জন্য।টাকা অর্থাৎ আমার ফিও অগ্রিম দিয়ে গেলেন।শুভ দিনে আমি তাঁর সবই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্ত্তী শুভ দিনে (প্রায় ১০/১২ দিন পর) অফিস, বাড়ী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কারেকশন করে দিলাম।৮/১০ মাস পরে পত্রিকায় দেখি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও সি.আই.পি পদও পেয়োছেন।আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ নেই (রাজেশ্বরী কনসাল্টেশন লিঃ কখনও কোন ক্লায়েণ্টদের সাথে স্বইচ্ছায় যোগাযোগ করে না।শুধু মাত্র সদস্যদের ঠিকানায় শান্তি বাস্তু পাঠানো হয়।২০০৬ খ্রীষ্টাদ্ধের আগষ্টের তিনি আমার সাথে পূনরায় সাক্ষাত করেন বাস্তু সংশোধনের ব্যাপারে।

আমি বললাম একবার তো সবই সংশোধন করে দিয়েছি আর করা যাবেনা।তিনিও নাছোড় বান্দা, বললেন আমার প্রতিষ্ঠানের মুখ্য প্রুবেশদ্বার সংশোধন করতে হবে, আমিও গেলাম, ঐ দিন অবশ্য শুভ যোগছিল।তাঁর প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পরে তিনি আমাকে বললেন বর্তমান অফিস ঘরের নক্সার পরিকল্পনা ও যথোচিৎ পরিবর্তন করার পর ” আজাদি” পদ হিসাব করে অতিরিক্ত সুবিধা প্রাপ্তির জন্য অফিসের প্রবেশদ্বারের পরিবর্তন করতে সুপারিশ করেন। ক্লায়েণ্ট ব্যবসায়ী সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করলেন- পরিবর্তন করতেই হবে এবং এর দ্বারা আপনি আমাকে কি দিতে পারবেন, আমি উত্তর দিলাম উন্নতি, লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সমৃদ্ধি, বন্ধুত্ব, আধ্যাত্মিক তথা আত্মিক সন্তষ্টি।তিনি বললেন আমি শুধু সমৃদ্ধি চাই।আমি সি.আই.পি ব্যবসায়ী বন্ধুত্ব দিয়ে আমার কি হবে? আমি বললাম এই যদি হয় আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য তাহলে আপনি ঝামেলায় পড়বেন আর তাছাড়া ১২ বৎসর মেয়াদী আপনাকে ধনমান অগ্রসন কবচ দেওয়া হয়েছে এটাকে নদীতে ভাসিয়ে না দিয়ে দেহে ধারণ (ডান বাহুতে) করে আছেন, এটাতো ঠিক না।এতে ধন, মান-সন্মান সবই নষ্ট হতে পারে।তিনি কথার গুরুত্ব দিলেন না।আমি তাঁকে বললাম- আমি আপনার আয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা স্থিরতা এনে দিতে পারি।সেটা হচ্ছে আয় ও ব্যয়ের ভাল অনুপাত।
তিনি প্রশ্ন করলেন “কতটা”।আমি উত্তর দিলাম ১:৩।ক্লায়েন্ট ভদ্র লোক বললেন আমি এখনই ১:৬ লাভ করছি।১:১০ এর কমে আমার লাভ নেই।আমি তখন বললাম স্যার ১:৩ অথবা ১:৪ এর বেশী বাস্তু কারেকশন করে আমি আপনাকে এর বেশী কিছু দিতে পারবনা।কেননা আমি মনে করি এর চেয়ে বেশি লাভ করা অনৈতিক।কিছু না দিয়ে কতটা নেওয়া যায়, এর একটা নীতিগত সীমা থাকা দরকার।এক বৎসরের মধ্যে এর মূল্য আপনাকে দিতে হবে।আমি আর বাস্তু কারেকশন করিনি।আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে ভদ্র লোক সি.আই.পি ব্যবসায়ী।কেয়ার টেকার সরকার আসার পর বর্তমানে কারাগারে।তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমার সাথে তিনি জেলে যাওয়ার পর যোগাযোগ করেছেন কিন্তু আমি/আমরা অর্থাৎ রাজেশ্বরী কনসাল্টেশন লিঃ কোন প্রকার প্রথাসিদ্ধ রীতি বিরুদ্ধ ও অনৈতিক ক্রীয়া কর্ম করিনা।তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিফল মনোরথে ফিরে যেতে হলো।

দ্বিতীয় উদাহরণঃ একটি ছেলের বাবা, মা এলেন আমার চেম্বারে।এসে বললেন তাঁদের সন্তান যেন এইচ. এস. সি পরীক্ষায় এচঅ ৫ পেতে পারে তদানুযায়ী ছেলের পড়ার টেবিল, ছেলের রুম কারেকশন করতে হবে।আমি জিজ্ঞেস করলাম- ছেলের কি কোষ্ঠী বা ঠিকুজী আছে? পিতা-মাতা সঙ্গে করে কোষ্ঠী ও নিয়ে এসেছেন যা আমার লিখা ১৯৯৭ সালে।আমি শুধু কোষ্ঠীর ছক থেকে জন্মকালীন গ্রহের অবস্থান আমার রাখা কাগজে তুলে নিয়ে কোষ্ঠী ফিরত দিলেম।ছেলেটির বিদ্যাস্থানের অধিপতী গ্রহ বৃহস্পতি মকরে নীচস্থ্য অতীব অশুভ।সিংহলগ্নে রবি ও শনি বসে আছে কেতরি নক্ষত্রে এবং জন্ম সময়ে কেতু বৃষে, রাহু বৃশ্চিকে বুধ সহযোগে।লগ্নে শনি সিংহ রাশিতে চরম অশুভ, লগ্নের চতুর্থে রাহু, বুধ সহযোগে পাপ পীড়িত আবার বুধের দৃষ্টি দশমস্থ্য কেতুর প্রতি।আমি তাঁদের বললাম দেখুন ছেলের বন্ধু স'ন্তান খুবই অশুভ, সে অবৈধ নারী সংসর্গে নিপ্ত, বৃহস্পতির পূর্ণ দৃষ্টি কেতুর প্রতি থাকাতে আপনার ছেলে নেশায় আসক্ত।চন্দ্র বসে আছে মীন রাশিতে ২৬ নক্ষত্রে অর্থাৎ শনির নক্ষত্রে।এমতাবয়স্থায় আমার কিছু করার নেই।প্রশ্ন করলাম কোষ্ঠীতে যে দু’টি পাথর ও একটি মহাবিদ্যা নিধি কবচ লিখে দিয়েছি তা কি ধারণ করিয়েছেন?

উত্তরে বলল যে ধারণ করাইনি।ছেলেটির মা অশ্রুসিক্ত কোটিপতির সন্তান।আমি বললাম তখন যদি জীবণ রত-পাথর দু’টি ও কবচটি ধারণ করাতেন আজ ছেলেটির এত অবক্ষয় হতো না।দুঃখিত আমি শুধু আপনার ছেলেকে পড়ার রুম কারেকশন করতে পারব না।এটা শাস্ত্রীয় বিধান নয়।হয় আপনার ডুপ্লেক্স বাড়ী সম্পূর্ণ রূপে কারেকশন করতে হবে নতুবা করাবেন না।কিন্তু আপনার ছেলের পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট আশা করবেন না।তাঁদের সম্মতি ক্রমে আমি ডুপ্লেক্স বাড়ীটি ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে কারেকশন করে দিলাম।কয়েক মাস পরে ছেলেটির মা বলল কবির সাহেব কারেকশনের পর ছেলেটির স্বভাব চরিত্র কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু পরিক্ষায় পাশ করেনি।এখন একটা প্রতিকার ব্যবস্থা ছেলেটিকে দিন।আমি আর্থিক ব্যয়ের কথা বললাম তিনি রাজী হলেন।ছেলেটিকে এবার একটি গোমেদ (Jacinth বা Hesouite) মহানবগ্রহ কবচ, অক্ষয় কবচ দিলাম।গোমেদ দেওয়ার কারণ ছিল রাহুর প্রভাবে অন্য বন্ধু-বান্ধব ও নেশা করা থেকে বাঁচানোর জন্য।বর্তমানে ছেলেটি সুস্থ্য এবং (A-) পেয়ে পাশ করেছে।শ্রদ্ধেয় পাঠক নীচের ৩/৪ টি পয়েন্ট মেনে চলবেন Please-

অধিকাংশ মানুষের চাহিদা হচ্ছেঃ-
  • দুঃখের আশঙ্কাহীন অন্তহীন সুখ।
  • জীবনের মসৃণ গতিপথ চরম তৃপ্তির আশ্বাস, যাতে সামান্য ঢেউ থাকবে না।
  • প্রতিটিকাজে সীমাহীন লাভ, কোন ঝুঁকি থাকবে না, থাকবে শুধু ধারাবাহিক সন্তোষ। সর্বদা অর্থ হাতে আসবে।
  • সর্বক্ষেত্রে বিজয়ী, শ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম হওয়ার বাসনা কিন্তু ব্যক্তিগত সংগ্রাম ও পরিশ্রম ব্যতীতই এগুলি লাভ।


সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্ত্তার সৃষ্ট দৃশ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের আপনার দ্বারা যেন কোন প্রকার ব্যত্যয় না ঘটে।এই শুভ কামনায় বাংলাদেশের ভু-খন্ডে জন্মগ্রহণকারীর পক্ষ থেকে বিশ্ব মানব সভ্যতার কল্যাণময় প্রার্থনা জানাচ্ছি।

শান্তি লাভ করুন

বাস্তু সংশোধন বা কারেকশন Reviewed by PIAS DEY on May 22, 2017 Rating: 5

No comments:

All Rights Reserved by আমার ভাগ্য © 2017 - 2023
Powered By Pias Dey, Designed by Pias Dey

আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.