Top Ad unit 728 × 90

image

বহুতল ভবনের বা এ্যাপার্টমেন্টের বাস্তুশাস্ত্র বিধান

বহুতল ভবনের বা এ্যাপার্টমেন্টের বাস্তুশাস্ত্র বিধান

ভারতীয় বা বিশেষ করে ভারতের বাস্তুবিদরা বিভিন্ন বইতে লিখেছেন যে, অপরের গৃহে কালাতিপাত ও বসবাস সম্মানের পরিপন্থী।সে কারণে নিজ গৃহ নির্মাণ অবশ্যই জরুরী।ইসলামিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে ঐ উক্তিটি আমরা কেউই গ্রহণ করব না।ভারতেও অপরের গৃহে মানুষ অর্থ প্রদান করে বসবাস করে থাকেন তদ্রুপ পৃথিবীর প্রতিটি দেশে।এমন কোন দেশ নেই যেখানে ভাড়াটিয়া নেই।যেহেতু বসবাসকারী নির্দিষ্ট ভাড়া প্রদান করে বসবাস করবেন সেহেতু সম্মানের পরিপন্থী কিভাবে হলো।তৎকালীন ভারতীয় মুনি-ঋষিগণ মানুষকে দাসত্বের আবদ্ধে রাখার জন্য এমন উক্তি করেছেন, যেটা আজ গোটা ভারতে বিদ্যমান।ব্রাহ্মণ, চক্রবর্তী, ক্ষত্রিয় সহ বহুপ্রকার গোত্রে তারা বিভক্ত আমরা মুসলমানরা বিভক্ত নই।আমাদের একটি মাত্র গোত্র সেটা হচ্ছে “মুহাম্মদী” গোত্র।আমরা এক আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করি, আমাদের তীর্থস্থানও একটি, পবিত্র মক্কা, মদীনা।

পাঠকবৃন্দ এ ধরনের বাস্তুশাস্ত্রের বই পড়ে নিজে গোনাহ্‌গার হওয়ার চেষ্টা করবেন না।আমি শুরুতেই বলেছি পূর্বের সংখ্যাগুলিতে।আপনারা পড়েছেনও বটে যে বাস্তু, জ্যোতিষ, তন্ত্রশাস্ত্র, মুসলমান সমপ্রদায়ের বিজ্ঞানীরাই সর্ব প্রথম আবিস্কার করেন।তন্‌ + মন্ত্র = তন্ত্র অর্থাৎ সক্রিয় দেহে কোন আয়াত বা সূরা পড়লেই তন্ত্র হয়ে গেল।মন্ত্র বলতে কোন খারাপ আয়াত নয়, শব্দটি সংস্কৃতি ভাষা থেকে এসেছে পার্থক্য এখানেই।কথা লিখার উদ্দ্যেশ্য হলো ২০০০ সালের পর থেকে কিছু মানুষ আমার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করলেন যে, অন্যের বাড়ীতে ভাড়া থাকি, আমার সম্মান আর রইলো না, সঙ্গে বইও দেখালেন যা ভারত থেকে প্রকাশিত (এমনিতে আমাদের মধ্যে বিদেশী কোন কিছু গ্রহণ করার ভাব প্রবণতা বেশী)।বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে বলার পর তারা বুঝতে পারলেন।বাংলাদেশে অনেক সম্মানিত হিন্দু পরিবার মানুষের বাড়ীতে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া থাকেন।তাই বলে তাঁদের কি কোন সম্মান নেই, ঠিক তদ্রুপ সকল ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রে।ভারতীয় বাস্তুবিদদের মতামত গ্রহণ করলে প্রায় ৮৮% মানুষকে উম্মুক্ত আকাশের নীচে বসবাস করতে হবে।সুতরাং আপনাকে ভাবতে হবে আপনি সম্মানের সহিত ভাড়া থাকেন, যতদিন পর্যন্ত আপনি ভাড়া থাকবেন ততদিন পর্যন্ত ঐ নির্দিষ্ট ভাড়াকৃত অংশের আপনি মালিক পার্থক্য এইটুকুই যে আপনার স্থায়ী কোন দলিল পত্র নেই, কিন্তু অস্থায়ী তো আছে।

আপনারা যাতে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ না করেন এই জন্যই এটুকু আমার লিখা।

আদিকালের কোন উদাহরণ আমি দিব না।এর প্রয়োজনও নেই।জনসংখ্যার চাপে মানুষের আবাসস্থানের সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয় পৃথিবীর সর্বত্র দেখা দিয়েছে।সামাজিক প্রাণী হিসাবে মানুষ তৈরী করে ফেলছে বহুতল আবাসিক ভবন যেটাকে আমরা এ্যাপার্টমেন্ট বলে থাকি।আমার জন্মস্থান ঢাকার মতিঝিলে, পৈত্রিক বাড়ী কমলাপুর জসিমউদ্দিন রোডে, আমরা সে সময় যে মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি খেলা খেলতাম সেখানে এখন রেলওয়ে ভবন, সি.এস.ডি গোডাউন খোদ আমাদের বাড়ী ও মহল্লার বাড়ী বহুতল বিশিষ্ট যা ছোটবেলায় দেখিনি।জমিতেও টান পড়েছে, ঢাকা সহ বিভিন্ন মহানগরীর মানুষ বসবাসের জন্য ধানের ক্ষেত এমনিক ডোবা জমিও বেছে নিয়েছে।পত্রিকার বিজ্ঞাপনে অন্তত তাই প্রমাণ করে।এ্যাপার্টমেন্টের দিকেও মানুষের ঝোঁক প্রবল, মানুষ তার সাধ্যের মধ্যে বসবাসযোগ্য এ্যাপার্টমেন্টও পাচ্ছে।দূষণের বিষয়ও ভাবতে হবে, যত উপরে উঠা যাবে ততই দূষণ কম, এটাও বহুতল বাড়ীর আরেক আকর্ষণ।ফ্ল্যাটবাড়ী বা এ্যাপার্টমেন্টের নকসা যিনি তৈরী করবেন, সেই আর্কিটেক্টারকে তাঁর বিশেষ কর্মযোগ্য তার পরিচয় দিতে হবে।আর্কিটেক্ট প্রকৌশলীরও বিশেষ জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বাস্তুশাস্ত্রের উপর।কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় যে আমাদের দেশের নক্সা প্রণয়কারীর এই বিষয়ে অভিজ্ঞতার কোন প্রমাণ আমি এখনও পেলাম না যদি পেতাম তবে আমাকে নির্মিত বাস্তু সংশোধন করতে হতো না।বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে তেমন কোন নীতিমালা এখনও নির্ধারণ হয়নি বিশেষ করে রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসিটির কেউই এই বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ আজও গ্রহণ করেনি।

বহুতল ভবনই হোক বা ছোট ভবনই হোক নক্সা প্রণয়নকারীর অন্তরের শৃংক্ষলার বাহিরের শৃঙ্ক্ষলার অভিব্যক্ত হতে হবে।তার ফলে তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা আসেন বা যে বস্তু আসে তারা সেই বস্তু উক্ত শৃঙ্ক্ষলা দ্বারা প্রবাহিত হয়।বস'ও সেই অনুসারে রূপ নেয়।একটি ভবন যা পারিপার্শ্বিক অবস্থাও অন্তরের শৃঙ্ক্ষলার সংবেদনশীল বোধের ভিতর দিয়ে গভীর চিন্তার মাধ্যমে নির্মাণ করা উচিত বাস্তুশাস্ত্রানুযায়ী।বসবাসকারী গৃহস্থ্য সেখানে আজীবন বসবাস করে উপকৃত হতে পারবেন।প্রাকৃতিক নিয়মের বিশুদ্ধতার সঙ্গে এক সুরে বেঁধে নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন, কারণ এর দ্বারা সৃষ্টির পথ তৈরী হয় এবং মানুষের চরম আনন্দ ও সুখময় জীবন প্রদান করে।এটা হলো শাস্ত্রসম্মতভাবে সর্বপ্রকার শিল্পের ভিত্তি।পরিশ্রম সাপেক্ষে বহুতল ভবন বা রাস্তাই হোক বাস্তু পরিকল্পনাকারীর পক্ষে গভীর মনোযোগ সম্মাত হওয়া এবং প্রাকৃতিক নিয়মের আন্তরিক উপনদী দ্বারা নক্সা প্রস্তুত করা বিশেষ প্রয়োজন

যাঁরা বহুতল ভবন নির্মাণ করবেন তারা আর্কিটেক্ট প্রকৌশলীর যে বিষয় গুলি দেখবেন তা নিম্নরূপঃ-

 
যাঁরা বহুতল ভবন নির্মাণ করবেন তারা আর্কিটেক্ট প্রকৌশলীর যে বিষয় গুলি দেখবেন তা নিম্নরূপঃ-
১।
অন্তরের রূপঃ দৃঢ়তা, শৃঙ্ক্ষলা, সৃজনশক্তি সবই ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার অংশ।
২।
বাহিরে অভিব্যক্তিঃ বস্তু তাত্ত্বিক ধারণা বা স্পর্শযোগ্য হতে পারে, যা রূপকারের সৃষ্টির উদ্যোগের অভিব্যক্তি।সৃষ্টবস্তু ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সামঞ্জস্য বাস্তুশাস্ত্র মতে নির্ধারণ করা চাই।বস্তুটির মনোরম রূপের ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রীতিকর অনুভূতির উদ্রেক করা চাই।মূল অঙ্গীকার হলো আমাদের প্রত্যেককে পছন্দমত (বাস্তু শাস্ত্রানুযায়ী) আত্মপ্রকাশের ভঙ্গিময় অন্তরের গভীর প্রশান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়ন করতে হবে।কারণ যাঁরা নির্মিত স্থান দর্শন করেন, তাঁরা অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন এবং সুন্দর জিনিস উপহার দেয়ার অর্থ হলো আত্মোন্নতি ও আত্মজ্ঞান লাভ।
৩।
কার্যপ্রণালীঃ সৌন্দর্য্য বিজ্ঞান, এবং বাস্তুস্থানের আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি তথা বাস্তুস্থানের প্রতি প্রতিক্রিয়ার উপলদ্ধি।
৪।
নক্সা প্রস্তুতকারকঃ বসবাসকারী, মুক্ত স্থান এবং গৃহ, তথা গঠণ ও আকারের কেন্দ্রস্থান হৃদয়ঙ্গম করা।
৫।
পারিপার্শ্বিক নৈসর্গিক অবস্থা এবং প্রতিরূপ।
৬।
নির্দিষ্ট দিকে আবর্তনের তাৎপর্য।
৭।
নির্মিত ভবনের আকার, বর্ণ ও আয়তনের গুরুত্ব।
৮।
মানুষের জীবনের সৃষ্টিতত্ত্বের (Cosmolory) গুরুত্ব।
 
  • বাস্তুশাস্ত্র আইন মেনে দেয়াল আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা, প্রধান প্রবেশ দ্বার বা মেইন গেট, গৃহ প্রবেশের প্রধান দরজা বাথরুম, রান্নাঘর ও অন্যান্য ঘর তৈরী করতে হবে।পৃথক বা স্বাধীন বাড়ীর নক্সার তুলনায়, বহুতল ভবনের নক্সা রাজউক কর্তৃপক্ষের নিয়মকানুন মেনে এবং সর্ব বিষয়ে চিন্তা করে বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ীর নক্সা প্রস্তুত করা কষ্ট সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ।যেহেতু নক্সা প্রস্তুতকারী প্রকৌশলী নকসার বৈধতার অনুমতি পাবেন, যুক্তির মাধ্যমে সেহেতু এটা কোন বিশেষ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার নয়।একজন স্থাপত্য প্রকৌশলীর ও বহুতল বা একতল ভবন নির্মাতার সঠিক যোগ্যতা পরিমাপ করা যাবে তখনই যখন তিনি প্রতিটি ফ্ল্যাট বাস্তুশাস্ত্রানুযায়ী নির্মাণ করবেন।ভবনের রুম, বাথরুম, রান্নাঘর, ইবাদতের রুম, ফ্রিজ, টিভি, বৈদ্যুতিক যাবতীয় বস্তু আলমারি স্থাপনের স্থান সব কিছু এমন ভাবে বাস্তুশাস্ত্র সম্মতভাবে তৈরী করবেন যাতে করে বসবাসকারী সর্বদিক থেকে উপকৃত হতে পারেন।এটাই স্থাপত্য প্রকৌশলীর গৌরবময় কৃতিত্ব, আর্থিক লাভের সংগে সংগে এই কৃতিত্বও উল্লেখযোগ্য প্রণিধান।
  • বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ী কিভাবে বাস্তুশাস্ত্রানুযায়ী নির্মাণ করতে হবে এবার সে বিষয়ে বেশ কিছু বিধান বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে লিপিবদ্ধ করলাম।লিখিত বিধান অন্য দেশে প্রয়োগ করবেন নাPlease, এতে ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যমান।
  • জমিঃ বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য জমির প্রয়োজন তো হবে তবে জমিটি যেন জলাশয় ভরাটকৃত জমি না হয়, (কমপক্ষে ১৮ বৎসর) আঠারো বৎসর পূর্বে জলাশয় ভরাটকৃত জমি হলে তেমন বিশেষ সমস্যা নেই।
  • জমি আয়তাকার সর্বোত্তম, নয়তো বর্গাকার ।
  • জমিটি দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক উঁচু থাকতে হবে, পূর্ব ও উত্তর দিক হবে নীচু।এ রকম পরিস্থিতির জমি আমাদের নগরে পাওয়া যায় না তাই ভবন নির্মাণে জমিকে এইভাবে উপযোগী করে নিতে হবে। এতে করে বৃষ্টির পানি ঢালুর দিকেই প্রবাহিত হবে যা আমাদের জন্য শুভ।
  • সেই জমিই সর্বোত্তম যার চার দিকে রাস্তা আছে, ভবন নির্মাণের জমির উত্তর ও পূর্ব দিকে রাস্তা থাকলে উত্তম জমি হিসাবে বিবেচিত এবং এধরণের জমিতে ভবনের প্রধান গেট - বাস্তুশাস্ত্র মতে উত্তর ও পূর্ব দিকে নির্মাণ করতে হবে।
  • একটা বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে যে, যে জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে সে জমির দিক ও কোণ যেন সঠিক হয় অর্থাৎ উত্তর যেন সঠিক উত্তরই হয়।তবে ০৭০ বাঁ, ডান দিক এদিক ওদিক হলে তা ধর্তব্যের আওতাভূক্ত নয়।ঢাকাতে, সিলেটে- ০৫০, চট্টগ্রামে- ০৩০ খুলনায়- ১০০ , রাজশাহীতে- ০৮০, বরিশালে- ০১ ডিগ্রীও নয়।দিক নির্ণয় যন্ত্র দ্বারা দিক নির্ণয় করে নিবেন।উল্লেখিত ডিগ্রীগত পরিমাপের বেশী পরিমাণ হলে উক্ত জমি, ভবন, ফ্ল্যাট ক্রয় করবেন না।যদিও করে থাকেন তবে সংশোধনে বহুব্যয় করতে হবে।পক্ষান্তরে উক্ত আবাসস্থলে, বাণিজ্যস্থলে বহুবিধ সমস্যা দেখা যায় যার মিমাংসা করতে বহুশ্রম ব্যয় করতে হয়।পূত্র-কন্যাদের বিবাহ বিলম্ব সহ বহুশুভ কর্মে ব্যাঘাত ঘটে।
  • যে কোন জমির বায়ু কোণ ৯০০ থাকলে ভাল, উত্তর-পূর্ব দিকে সামান্য প্রসারিত থাকলে উত্তম।দক্ষিণ ও পশ্চিমের তুলনায় উত্তর ও পূর্ব দিকে ভবন নির্মাণের সময় জমির অংশ বেশী জায়গা রাখতে হবে।
  • বাস'শাস্ত্রানুযায়ী উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান দিক ও কোণ হলো শীতল স্থান ফলশ্রুতিতে আন্ডার গ্রাউন্ড পানির রিজার্ভ ট্যাংক উক্ত দিকেই নির্মাণ করতে হবে।গভীর নলকূপ ও উক্ত দিক ও কোণে থাকবে।
  • ওভার হেড ট্যাংক তৈরী করতে হবে নৈঋত কোণের পশ্চিমে অথবা কোণ বারাবর।অন্যদিকে কিছুতেই করা যাবে না।
  • ভবণের নৈঋত কোণ বা দিকে সিঁড়ি ও লিফ্‌ট বসবে।স্থানাভাবে দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে সিঁড়ি ও লিফ্‌ট নির্মাণ করা যাবে। কিন্তুকোন ক্রমেই উত্তর, পূর্ব, ঈশাণ কোণে নয়।
  • আধুনিক সময়ে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ীতে বৈদ্যুতিক জেনারেটর স্থাপন করা হয়। উক্ত জেনারেটর অগ্নি কোণে স্থাপন করা সর্বোত্তম।সম্ভব না হলে দক্ষিণ পূর্ব দিকের দক্ষিণ ঘেষে পূর্ব দিকে স্থাপন করতে হবে।
  • ভবনের সীমানা দেয়াল দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক উঁচু হবে।প্লাষ্টারও মোটা হবে।উত্তর, পূর্ব দিকের সীমানা দেয়াল নীচু হবে।
  • গাড়ী রাখার গ্যারেজ থাকবে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে (যদি বেসমেন্ট করা)।যদি বেসমেন্ট না করা হয় তবে অগ্নি কোণে থাকবে।বেসমেন্ট করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে নৈঋত, পশ্চিম, দক্ষিণ দিকে বেসমেন্ট করা যাবে না।
  • বর্তমান সময়ে বহুতল আবাসিক বসবাসের ভবনে দোকান বা অফিস নির্মানের হিড়িক পড়েছে, যা বাস'শাস্ত্রের বিপরীতে।এতে করে হয় দোকানী লাভবান হয়ে যায়, নতুবা গৃহস্থ্য।এরূপ বহুতল ভবন বসবাসের জন্যনিম্নতম উপযোগী।
  • বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ী, ছোট বাড়ীর মেইন গেট ও গৃহ প্রবেশের মূখ্য দ্বার কোন দিকে কিভাবে রাখবেন তা চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো।


আরো জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন >>>>>>>>>>>>>>>
বহুতল ভবনের বা এ্যাপার্টমেন্টের বাস্তুশাস্ত্র বিধান Reviewed by PIAS DEY on May 22, 2017 Rating: 5

No comments:

All Rights Reserved by আমার ভাগ্য © 2017 - 2023
Powered By Pias Dey, Designed by Pias Dey

আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.